Voice of SYLHET | logo

২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জুন, ২০২৩ ইং

টিউশন ফি’র’ জন্য অভিভাবকদের চাপ দেয়া সঠিক হবে না: জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত : May 03, 2020, 23:37

টিউশন ফি’র’ জন্য অভিভাবকদের চাপ দেয়া সঠিক হবে না: জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক:-

নগরীতে স্কলার্স হোমসহ অন্যান্য অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অমানবিক সিদ্ধান্তে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ সিলেটের অভিভাবকরা।স্কলার্স হোম, আনন্দনিকেতন,বিবিআইএস,খাজান্সিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল,কুমারপাড়াস্থ ইংলিশ গ্রামার স্কুলসহ অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অভিভাবকদের কাছে বার বার বেতন পরিশোধের নোটিশ পাঠাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই টিউশন ফি’র জন্য অভিভাবকদের চাপ দেয়া সঠিক হবে না। এ নিয়ে সরকারী নির্দেশনা জারির পূর্বেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়টি উপলব্দি হলে ভালো। তিনি বলেন, লকডাউন উঠে গেলে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অভিভাবকরা যথাসময়ে তাদের সন্তানদের টিউশন ফি প্রদান করবে।আসুন আমরা আরো বেশি মানবিক হই একে অন্যকে সহায়তা করি।

করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় সরকারের সচেতনতামুলক কর্মসুচী হিসেবে ১৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সকল সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসমুহ। সরকারি নির্দেশনার পর থেকে সারাদেশের মতো সিলেটেও বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

লকডাউনে থাকায় অনেকেই যাচ্ছেননা কর্মস্থলে। তার উপর বেতন বন্ধ রয়েছে অনেক বেসরকারি চাকুরীজীবিদের। ব্যবসায়ারীরাও সীমিত পরিসরে ব্যবসা করে খুব একটা আর্থিক ভাবে ভালো নেই। সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে নিম্নবিত্ত ও অসহায় মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা বিতরণ চলছে প্রতিদিন। এমনি দু:সময়েও সিলেটের কয়েকটি অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের। সেই সাথে পাঠানো হচ্ছে ম্যাসেজও। ম্যাসেজে বকেয়া বেতনসহ চলতি মাসের বেতন পাঠিয়ে পরিশোধ করার জন্য তাগিদ প্রদান করা হচ্ছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।

নগরীর রায়নগর রাজবাড়িতে বসবাসকারী এক অভিভাবক জুমেরা আক্তার ঝুমু  বলেন, ‘ আমার দুই সন্তান স্কলার্স হোম স্কুলে লেখাপড়া করে। আমরা কখনও স্কুলের টিউশান ফি বকেয়া রাখিনি। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করোনা পরিস্থিতির জন্য বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় বাচ্চাদের টিউশান ফি পরিশোধ করা খুবই কষ্টকর। স্কুল কর্তপক্ষের উচিৎ ছিলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে সময় দেয়া।’

পশ্চিম পীরমহল্লায় বসবাসকারী আনন্দনিকেতনের আরেক অভিভাবক তাহিয়া চৌধুরী  বলেন- টিউশন ফি’র জন্য স্কুলের এমন চাপে সত্যি আমরা বিব্রতবোধ করছি, এই পরিস্থিতির জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। এখন খেয়ে বাঁচা অনেক কঠিন হয়ে গেছে।

নগরীর তপোবন আবাসিক এলাকার আরেক অভিভাবক আমিন চৌধুরী বলেন, আমার দুই সন্তান গত ৮ বছর থেকে ব্রিটিশ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে পড়ছে। আমরা কখনও তাদের বেতন বকেয়া রাখিনি।এখন বার বার স্কুল থেকে মোবাইলে ম্যাসেজ দেয়া হচ্ছে বেতন পরিশোধ করতে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন অমানবিক সিদ্ধান্তে আমরা প্রচন্ডভাবে ক্ষুব্ধ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সংবাদটি পড়া হয়েছে 229 বার

যোগাযোগ

অফিসঃ-

উদ্যম-৬, লামাবাজার, সিলেট,

ফোনঃ 01727765557

voiceofsylhet19@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

সম্পাদক মন্ডলি

ভয়েস অফ সিলেট ডটকম কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।