Voice of SYLHET | logo

২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা জুন, ২০২৩ ইং

সেই নবজাতকের নাম রাখলেন র‌্যাব কমান্ডার

প্রকাশিত : May 02, 2020, 20:56

সেই নবজাতকের নাম রাখলেন র‌্যাব কমান্ডার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :-

প্রসবকালীন জটিলতায় এক প্রসূতিকে নিজের সরকারি গাড়িতে করে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দেন র‌্যাব-৯, শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। শিল্পী রানি পাল নামের ওই প্রসূতিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাসপাতালের তিন তলার প্রসূতি ওয়ার্ডে নিয়ে যান তিনি। পরে পুত্র সন্তান প্রসব করেন ওই নারী। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ওই নারীর স্বামী রনজিৎ দাস এএসপি আনোয়ারকে ফোন করে নবজাতকের নাম ঠিক করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। এসপি আনোয়ার নবজাতকটির নাম রাখেন শচীন চন্দ্র দাস।
জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল রাত ১২টায় র‌্যাব কর্মকর্তা ওই নারীকে তার গাড়িতে হাসপাতালে নেন। ওই দিন পুত্র সন্তান জন্ম নেওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর শুক্রবার (১ মে) ছিল শিশুটির নামকরণের আনুষ্ঠানিকতা। শিশুটির বাবার অনুরোধে র‌্যাব কমান্ডার যথাসময়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার শহরতলীর দক্ষিণ উত্তরসুর গ্রামে আসেন। তিনি শিশুটির নাম রাখেন শচীন চন্দ্র দাস।
তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ওই বাড়ির কাউকে বাইরে আসতে দেননি, এমনকি তিনি নিজেও যাননি ঘরের মধ্যে। দরজার সামনে উকি দিয়ে তিনি বাচ্চাটির নামকরণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এ সময় তিনি নবজাতকের হাতে একটি কলম তুলে দেন এবং তার মাকে কিছু উপহারসামগ্রী হস্তান্তর করে
নবজাতকের মা শিল্পী রানী পাল বলেন, ‘স্যার যে বাড়িতে এসে সন্তানের নাম রেখে গেলেন, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি চাই, আমার ছেলে বড় হয়ে যেন স্যারের মতো একজন মানুষ হয়।’
নবজাতক বাচ্চাটির নাম শচীন চন্দ্র দাস রাখার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে র‌্যাব কমান্ডার বলেন, ‘উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মনের একজন বড় ভক্ত আমি। তাছাড়া ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের খেলা দেখতেও অনেক পছন্দ করতাম সেই ছোটবেলা থেকে। এই দু’জন গুণী মানুষের নামের সঙ্গে মিলিয়েই শিশুটির নাম রেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেটি বড় হয়ে কী হবে-না হবে, অনেক পয়সাওয়ালা বা গুণী হবে কিনা তা নিয়ে আমার কোনও চাওয়া নেই। শুধু চাই, সে যেন একজন ভালো মানুষ হয়। মানবজাতি এবং অন্য সব সৃষ্ট জীবের প্রতি গভীর ভালবাসা বুকে ধারণ করেই যেন সে বেড়ে ওঠে। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নবজাতকের জন্য এটাই আমার প্রার্থনা।’
প্রসঙ্গত,  করোনা পরিস্থিতি সৃষ্টির পর এএসপি আনোয়ার তার মানবিক কাজের মাধ্যমে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন। তিনি ৩৪তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন উত্তর বড়বিল গ্রামের আব্দুল মান্নান ও বিলকিস বেগম দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

সংবাদটি পড়া হয়েছে 277 বার

যোগাযোগ

অফিসঃ-

উদ্যম-৬, লামাবাজার, সিলেট,

ফোনঃ 01727765557

voiceofsylhet19@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

সম্পাদক মন্ডলি

ভয়েস অফ সিলেট ডটকম কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।