হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ডাক্তার ও একজন নার্স করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় গত ১০ দিন ওই চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা গ্রহণকারীদের তালিকা তৈরী করেছে উপজেলা প্রশাসন। হাসপাতালের রেজিস্ট্রার থেকে তাদের তালিকা তৈরী করা হয়। তালিকা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে। তাদের প্রত্যেকের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতও করা হয়েছে। আজ বুধবার এ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহীম। <তিনি জানান, ডাক্তার ও নার্স ছাড়াও উপজেলায় আরও ২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সাথে আক্রান্ত ডাক্তারের কাছে যারা গত ১০ দিনে চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে, মঙ্গলবার রাত পৌণে ১০টায় সিলেট ল্যাব থেকে হবিগঞ্জে আরও এক নার্সসহ দুইজন মহিলা করোনা আক্রান্ত শনাক্ত রিপোর্ট হবিগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে এসে পৌঁছার পর এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। নতুন শনাক্ত হওয়া দুইজনের একজন লাখাই এবং অপরজন আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, নতুন করে ওই দুই মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এর আগে সোমবার একজন ডাক্তার ও একজন নার্সসহ আরও ১০ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হন এবং ৯ এপ্রিল শনাক্ত হন একজন পরিবহন শ্রমিক। তাদেরকে সদর আধুনিক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বল জানান, লাখাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরও একজন নার্স করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর অপর মহিলা আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নতুন বাড়ির বাসিন্দা। তাদেরকে সদর আধুনিক হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, লাখাইয়ে আক্রান্ত ডাক্তার ও নার্সদের সংস্পর্শে যারাই এসেছেন তাদের তালিকা করে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে আতংকিত না হয়ে সবাইকে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।