সিলেটে ১৪ তম দিনে ১৫ তম রিপোর্ট এসেছে ৭৩ জনের। ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ২য় তলায় স্থাপিত ল্যাবে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এই ৭৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় । এর মধ্যে ৭১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও ২ জনের রিপোর্ট আসে পজেটিভ। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, কৌশলগত কারণে পজেটিভ রিপোর্ট আসা দুইজনের নাম ঠিকানা জানানো সম্ভব হচ্ছেনা।
এর আগে ২০ এপ্রিল রিপোর্ট আসে ৮৮ জনের। এর মধ্যে হবিগঞ্জের ১০ রোগীর পজেটিভ রিপোর্ট আসলেও সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জের রিপোর্ট জানা সম্ভব হয়নি। ১৪ তম দিনে মোট রিপোর্ট আসলো ১০৫৪ জনের। এর মধ্যে ১৫ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এবং নেগেটিভ ১০৩৯
এর আগে ১৩তম দিনে মোট টেস্ট গ্রহণের সংখ্যা ছিলো ৮৯৩ জনের। এর মধ্যে রোববার পর্যন্ত পজেটিভ সংখ্যা ৫ জনের থাকলেও নেগেটিভ ছিলো ৮৮৮ জনের।
পজেটিভ আসা চার করোনা রোগীর মধ্যে ২ জন সুনামগঞ্জ ও অপর দুইজনের বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইন ঘাটে এবং সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল ২৭ রিপোর্টের মধ্যে ২৬ টি নেগেটিভ হলেও একটি আসে পজেটিভ। পজেটিভ থাকা ব্যক্তির বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। এর আগে ১৮ এপ্রিল নেগেটিভ রিপোর্ট আসে ৮১ জনের। সর্বশেষ ২০ এপ্রিল হবিগঞ্জের আরো ১০ জনের রিপোর্ট আসে পজেটিভ।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে (সিওমেক) ৭ এপ্রিল থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ৮ এপ্রিল থেকে যথারীতি রিপোর্ট আসতে শুরু হয়েছে।
৮ এপ্রিল প্রথমে আসে ৯৪ জনের। যাদের প্রত্যেকের রিপোর্ট ছিলো নেগেটিভ। অর্থাৎ তাদের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন। ৯ এপ্রিল আরো ২৪ জনের একইভাবে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। ১০ এপ্রিল নেগেটিভ রিপোর্ট আসে ৩৫ জনের। ১১ এপ্রিল একইভাবে নেগেটিভ আসে আরো ৪৭ জনের। ১২ এপ্রিল রিপোর্ট আসে ১০৬ জনের। এর মধ্যে ১০৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও ১ জনের রিপোর্ট আসে পজেটিভ। পজেটিভ আসা ওই রোগী সুনামগঞ্জের। এবং তিনিই প্রথম সনাক্ত হওয়া সুনামগঞ্জের করোনা রোগী। ১৩ এপ্রিল রিপোর্ট আসে আরো ৯১ জনের। এর মধ্যে ৯০ জনের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ এবং ১ জনের পজেটিভ। কাকতলীয়ভাবে পজেটিভ আসা ওই রোগীও মহিলা এবং একই জেলা সুনামগঞ্জের বাসিন্দা।১৪ এপ্রিল আরো ৮৯ জনের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ এবং ১৫ এপ্রিল নেগেটিভ রিপোর্ট আসে আরো ৮৫ জনের। ১৬ এপ্রিল রিপোর্ট আসে দুটি ধাপে মোট ১৪০ জনের। এরধ্যে ১৩৮ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট আসলেও পজেটিভ আসে দুইজনের। ১৭ এপ্রিল দশম দিনে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে আরো ৭৪ জনের।