করোনা আতঙ্কে সারা দেশেই ধান কাটার শ্রমিকের সংকট। শিল্প নগরী ছাতকও তার ব্যতিক্রম নয়। এবার কৃষকদের ধান কাটার শ্রমিক সংকট কাটাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল।
আগাম কালবৈশাখী কিংবা অতিবৃষ্টির দাপট থেকে বোরো ফসল রক্ষায় মাঠে নেমেছেন তিনি। করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া মিল কারখানার শ্রমিক কিংবা অন্যপেশার শ্রমিকদের ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে উদ্ভুদ্ধ করছেন। হাওরে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে পাকা বোরো ধান কাটার কাজে শ্রমিকদের সাথে নিজেও কাস্তে হাতে নেমে পড়ছেন। তার এই উদ্যোগে করোনার কারণে বেকার হয়ে যাওয়া শ্রমিকরা যেমন বিকল্প কাজ খুঁজে পেয়েছেন, তেমনি উৎসাহিত হচ্ছেন। ধান কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা পুলিশের পাশাপাশি ধান কাটছেন।
হাওরপাড়ের কৃষকরা জানান, করোনার কারণে ধান কাটার শ্রমিক সংকট। আর এ সংকট কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছেন ছাতক থানার ওসি। তিনি বেকার হয়ে যাওয়া মিল কারখানার শ্রমিকদের ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগিয়ে উপকার করেছেন। আশা করি সময়মতো ধান কেটে তুলতে পারবো।
ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, সময়মতো ধান কাটতে না পারলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই করোনার সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ধান কাটার বিকল্প শ্রমিক যোগাড় করেছি। এতে করে বেকার হয়ে যাওয়া শ্রমিকদেরও একটা কর্মসংস্থান হলো। তিনি বলেন, এবার ছাতকে ১৪ হাজার ৬২২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৯ হাজার ৭শ মেট্রিকটন চাল।
তিনি বলেন, করোনার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের ধান কাটার শ্রমিকরা আসতে না পারায় বিকল্প শ্রমিকের ব্যবস্থা করেছি। এতে করে দ্রুত কৃষকরা তাদের ফসল গোলায় তুলতে পারবেন। বিকল্প শ্রমিকদের বুঝিয়ে, তাদের ধান কাটায় উদ্বুদ্ধ করেছি। বিষয়টি সার্বক্ষনিকভাবে আমি নিজেই মনিটরিং করছি।