নিউজ ডেস্ক:-
বিশ্বমানের একটি পিসিআর ল্যাব হয়েছে সিলেটে। টেস্ট এর কোয়ালিটিও আউটস্ট্যান্ডিং। কিন্তু নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি নিয়ে ভাইরোলজিস্টরা এখনও আশ্বস্ত নন। সঠিকভাবে নমুনা সংগৃহিত না হলে টেস্টের ফলাফল বরাবরই নেগেটিভ আসবে। যেকোন ভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য বিশ্বব্যাপী দুটি পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের প্রথা চালু আছে। প্রথমটি নাক এবং টনসিলের গোড়া থেকে নমুনা সংগ্রহ করা, যার সঠিক ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা ৬০-৬৫ %। এবং দ্বিতীয় পদ্ধতিতে বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে রোগির লান্স থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যার সঠিক ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা ৯২-৯৪%। আমাদের এখানে প্রথমটিই করা হচ্ছে, যেখানে ফলাফল সঠিক না হওয়ার একটি বড় সম্ভাবনা থেকে যায়।
উপজেলা পর্যায়ের ইপিআই স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে বর্তমানে নমুনা সংগ্রহের কাজ করানো হচ্ছে। তাদের ট্যাকনিকাল ক্যাপাসিটি দিয়ে প্রথম পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেই মান নিয়ে ভাইরোলজিস্টরা সন্দিহান। আর তাদের দিয়ে দ্বিতীয় পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ প্রায় অসম্ভব। এ অবস্থায় একটি সমাধান ভাবা যায় কি? মুলত নমুনা সংগ্রহ করা মেডিক্যাল ট্যাকনোলজিস্টদের কাজ। দেশে হাজার হাজার মেডিক্যাল ট্যাকনোলজিস্ট বেকার আছেন। তাদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্যাকনোলজিস্ট এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজে লাগানো যায়। এতে স্পর্শকাতর করোনা টেস্টে সর্বোচ্চ সঠিক ফলাফল নিশ্চিত করা যেতে পারে ।
লেখক: ব্যুরো প্রধান ৭১ টিভি,সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিলেট প্রেসক্লাব