দক্ষিণ সুরমা প্রতিনিধি: বারখলা, কায়েস্থরাইল এলাকার উপর দিয়ে চলে যাওয়া চান্দাই রোডটি ২৫নং ওয়ার্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বলা চলে। বারখলা, কায়স্থরাইল এলাকা ছাড়াও মুছারগাঁও, দাউদপুর, গালিমপুর ও চান্দাই এলাকার জনসাধারণ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন।
ফরেন পোষ্ট অফিসের সামন থেকে শুরু করে বাইপাস পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক। ইতোমধ্যে রাস্তার স্থানে স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। ফলে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এ রাস্তাটি।
সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তার প্রায় সর্বত্রই ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। । ফলে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে বেড়ে যায় দুর্ভোগের মাত্রা। গর্তে জমে থাকা পানিতে অনেক পথচারী ও কায়েস্থরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পরনের কাপড়চোপড় ভিজে যায়। এই গর্ত গুলোই এখন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও, বঙ্গবীর রোড হয়ে বাইপাস সড়কে যাওয়া বিভিন্ন ভারী ভারী যানবাহন চলাচলের মূল সড়ক ব্যবহার না করে এই চান্দাই রোডটি লিংক রোড হিসেবে ব্যবহার করার কারনে রাস্তার ভাঙা অংশের পরিমান দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সেই সাথে বারখলার জাহাজ বিল্ডিং সংলগ্ন জৈন্তারখালের উপর নির্মিত কালভার্টের মূলকাজ গত বছর শেষ হলেও কালভার্টে দুইপাশের রাস্তা এখনও মেরামত করা হয়নি। কালভার্টে উঠার সময় রিকশা, সাইকেল, সিএনজি অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন প্রায়শই ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এ রাস্তার বেজবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় জৈন্তার খালের উপর পাকা ড্রেন নির্মানের কাজ আট-নয় মাস যাবৎ আটকে আছে। ড্রেনের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার প্রায় অর্ধেক ভেঙে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। অনেক দোকান ও বাড়ির মালিকগণ ড্রেনের কাজের জন্য দোকান, বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে জায়গা করে দিয়েছেন। কিন্তু এতদিনেও কাজ শেষ করা হচ্ছে না। রাস্তার প্রায় অর্ধেক ভেঙে রাখার ফলে এবং অর্ধনির্মিত ড্রেনের রডগুলো বেড়িয়ে থাকায় রাস্তাটি এখন মৃত্যুকুপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোন সময় বড়ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং মেয়র মহোদয়ের কাছে ধরনা দিয়েও কোন সুফল পাননি তারা। কোন কারণে রাস্তা এবং ড্রেনের কাজ শেষ হচ্ছে না তা কারোরই জানা নেই। রাস্তা এবং ড্রেনের কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করে এলাকাবাসীকে এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বারখলা, কায়েস্থরাইল, মুছারগাঁও তথা ২৫নং ওয়ার্ডবাসীর পক্ষ থেকে মেয়র মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।