আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসার জন্য কাগজপত্র বিহীন অভিবাসীদের উত়্সাহিত করা হচ্ছে। ডাউনিং স্ট্রিট সোমবার জানায় যে ভ্যাকসিন সেন্টারগুলিতে ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসের কোনও চেক থাকবে না এবং “যারা এখানে অবৈধভাবে আছেন তারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন”। ১৪০ টিরও বেশি দাতব্য সংস্থা,ফেইথ গ্রূপ , স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং চিকিত্সা সংস্থা সরকারকে চিঠি দিয়েছে এতে বলা হয়েছে যে ১.৩ মিলিয়ন অভিবাসী ভ্যাকসিন নিতে যাতে এগিয়ে আসাটা নিরাপদ বোধ করে তা নিশ্চিত করার জন্য আরও জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা জানিয়েছে যে যদি পরিপূর্ণ ভাবে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে বেশির ভাগ অভিবাসীই ভেকসিনবিহীন থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের একটি যৌথ চিঠিতে সংগঠনগুলি বলেছে যে “স্বাস্থ্যসেবাতে দীর্ঘকালীন এবং প্রবেশের বাধা থাকার কারণে অভিবাসীরা সেবা নিতে ভয় পান” এবং এর ফলে অনেককেই ভেকসিনবিহীন থেকে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এনএইচএস এর প্রাক্তন নার্স, বর্তমানে দাতব্য মেডিকেটে স্বাস্থ্য ও মানবাধিকারের জন্য নেতৃত্বদানকারী স্কিনার বলেছেন, “সরকারের আজকের এই ঘোষণাটি স্পষ্ট প্রমান করে যে ‘বৈরী পরিবেশ’ জনস্বাস্থ্যের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ,” তিনি বলেন “মহামারীটির শুরুতে আমরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম যে এনএইচএস চার্জিং এবং ডেটা ভাগ করে নেওয়ার ফলে সৃষ্ট আশঙ্কা অভিবাসীদের করোনভাইরাস চিকিত়্সা সেবা নিতে বাধা প্রদান করবে। তবুও এই নীতি গুলি যে ক্ষতি করছে, তা স্বীকার করতে এমনকি সরকারকে এক বছর সময় লেগেছে।
জেসিডাব্লুআইয়ের জানুয়ারিতে করা গবেষণায় দেখা গেছে যে শতকরা ৪৩ ভাগ অভিবাসী তাদের উপর চার্জআরোপ হওয়ার ভয়ে বা তাদের ডেটা হোম অফিসের সাথে ভাগ করে নেওয়ার ভয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে ভয় পায় । তবে সরকারের এই ঘোষণার ফলে অনেক অভিবাসী কোরোনার ভ্যাকসিন সেবা নিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দাতব্য সংস্থাগুলির দাবি, এই সকল কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীদেরকে স্থায়ী ক্ষমার মাধ্যমে তাদের মৌলিক চিকিৎসার অধিকার ভোগ করতে সরকার জরুরী প্রদক্ষেপ নিবেন প্রত্যাশা