নিউজ ডেস্কঃ ৩ বছর পরও কমিটি ঘোষণা হয়নি সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কর্মীসভা শুধু বক্তৃতাতেই সীমাবদ্ধ ছিলো।
২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে সিলেট মহানগর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর থেকেই কেন্দ্র থেকে আশ্বাস আর কমিটির জন্য জীবনবৃত্তান্ত নিলেও আলোর মুখ দেখেনি সিলেট জেলা-মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি।
এদিকে, গতকালের কর্মীসভায় ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপিংকে প্রশ্রয় না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তিনি বলেছেন, নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার প্রয়োজন নেই।
শনিবার সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য্য।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমি দেখেছি অনেকেই আমার এবং সাধারণ সম্পাদক লেখকের ছবি দিয়ে পৃথক পৃথক ব্যানার-ফেস্টুন বানিয়ে টানিয়েছেন। এ সব করবেন না। আর কখনই গ্রুপিংকে প্রশ্রয় দেবেন না। কারণ আমরা চাই সবাই মিলেমিশে থাকেন। ছাত্রদল অছাত্রদের সংগঠন বলে মন্তব্যে করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রদলের কোনো গঠনতন্ত্র নেই। এছাড়া তাদের বেশিরভাগ নেতাকর্মী অছাত্র। সকল অছাত্র আর বয়স্ক লোকদের দিয়ে কমিটি গঠন করে। সম্প্রতি তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর গুপ্তহামলা চালিয়েছে। তাই এদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
জয় বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশরত্ন থেকে বিশ্বরত্ন হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। এজন্য বাংলাদেশে ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে বিশ্বরত্ন শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে জয় বলেন, সিলেট জেলা ও মহানগরে সবাই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন না। তবে সকলেই এ দুই পদের যোগ্য। এজন্য যারাই নেতৃত্বে আসুক সবাই মিলেমিশে কাজ করতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য্য বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি দেয়া হবে। আমরা যে কমিটি দেব সেই কমিটির নেতৃত্বে আপনারা কাজ করবেন।
এদিকে, কর্মীসভায় জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা না করলেও কেন্দ্রীয় ২ জন সহ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সাইফুর রহমান রাজন ও মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য্য এই দু’জনের নাম ঘোষণা করেন।
এর আগে শনিবার দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে বেসরকারি একটি বিমানে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য। সেখানে তাদের স্বাগত জানান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সিলেটে এসেই হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন তারা। বেলা সোয়া ২ টার দিকে হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন।পরে জয় ও লেখক স্মরণ করেন সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে। বিকেল ৩টার দিকে কামরানের কবর জিয়ারত করেন তারা। পরে কামরানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
দৈনিক জালালাবাদ